বই জাদুঘর ১৯৭১
ও
মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র
বাঙালী জাতির এক অনন্য অর্জন-সশস্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা, ঘোষণা-১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন। এর আগে দুই যুগের মুক্তি সংগ্রাম প্রস্তুতি।
এক অবিশ্বাস্য, দুঃসাহসী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পরাজিত করেছি হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে। ৯৩ হাজার পাকিস্তানী সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছে আমাদের ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
এ ছিল এক প্রকৃত জনযুদ্ধ । ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানী, ১ কোটি শরণার্থীর অবর্ণনীয় জীবন যাপন এর বিনিময়ে অর্জন হয়েছে এই স্বাধীনতা। নিরস্ত্র বাঙালী-শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-নারী সবাই সশস্র ট্রেনিং নিয়েছে, যুদ্ধ করেছে, জয়লাভ করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ সারাদেশ ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। দিনের পর দিন আশ্রয় দিয়েছে, মাঝ রাতে রান্না করে খাইয়েছে আমাদের মা বোনেরা। ছোট ছোট শিশু-কিশোরেরা খেলাচ্ছলে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গতিবিধি লক্ষ্য করেছে, রাজাকারদের ঘাঁটির খোঁজ দিয়েছে আমাদের যুদ্ধ করার জন্য। দেশের ভেতরে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে পালিয়ে বেড়ানো আর শহরের অবরূদ্ধ আতংকের জীবন তাঁদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি।
গুটিকতক রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, জামাতে ইসলাম আর মুসলিম লীগ ছাড়া সবার জীবন এই মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ছিল।
এখনও জেলা-উপজেলা-গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য গণকবর-বধ্যভূমি। এমন পরিবার পাওয়া কঠিন যারা কাউকে হারায়নি এই মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক বই রচিত হয়েছে। দলিলপত্র সংগ্রহ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সহ বিভিন্ন জাদুঘরে অনেক কিছু সংগৃহীত আছে। তারপরও আমরা মনে করি আরো অনেক কিছু লেখার বাকী আছে, করার বাকী আছে । মুক্তিযুদ্ধ ও এর পটভূমি নিয়ে আরো অনেক গবেষনা প্রয়োজন।
সেই প্রয়োজন মেটানোর জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস-আমরা একাত্তরের পক্ষ থেকে বই জাদুঘর ১৯৭১ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষনা কেন্দ্র।
এখানে আমরা মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা ছাপানো সব বই রাখার চেষ্টা করবো এবং এর পাশাপাশি ঐ সব বই ও দলিলপত্রগুলো অনলাইনে রাখবো। এখানে অনলাইনে বই পড়ার এবং গবেষনা কাজের ব্যবস্থা থাকবে।
আপনাদের সকলের অংশগ্রহন ও সহযোগিতা কামনা করি।